জুকারবার্গের বিস্ফোরক অভিযোগ: বাইডেন প্রশাসন মেটাকে ফোন করে গালি দিত ও ধমক দিত!

জুকারবার্গের বিস্ফোরক অভিযোগ

Last Updated on January 11, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো

মেটার প্রধান মার্ক জুকারবার্গ সম্প্রতি এক পডকাস্টে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন যে, বাইডেন প্রশাসন তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করত এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামসহ মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্দিষ্ট কনটেন্ট সরানোর জন্য তাদের গালি দিত এবং ধমক দিত। জুকারবার্গের মতে, এমন ঘটনা ২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময়ে আরও তীব্র হয়েছিল।

বাইডেন প্রশাসনের চাপের মুখে মেটা

জুকারবার্গ বলেন, “বাইডেনের প্রশাসনের লোকজন আমাদের টিমকে ফোন করত এবং ধমক দিত। তারা আমাদের গালি দিত।” এর পরিপ্রেক্ষিতে, পডকাস্টের সঞ্চালক জো রোগান জানতে চান, এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা নথি তাঁর কাছে আছে কি না। জবাবে জুকারবার্গ জানান, “এই বিষয়ক ইমেলগুলো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে, যা আগে প্রকাশ করা হয়েছে।”

ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে জুকারবার্গের মন্তব্য

জুকারবার্গ আরো বলেন, “ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বিষয়টি একসময় ১৯৮৪ সালের মত হয়ে গিয়েছিল। প্রথমদিকে এই ফ্যাক্ট চেকিং মূলত ভুয়ো কনটেন্টের বিরুদ্ধে ছিল। তবে পরে এটি রাজনৈতিকভাবে মোড় নেয়। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি যাতে এটি আমাদের মূল উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তবে তা সম্ভব হয়নি।”

কোভিডের সময় চাপ

তিনি আরও জানান, কোভিডের সময়, বাইডেন প্রশাসন মেটাকে নির্দিষ্ট কিছু কনটেন্ট সরানোর জন্য চাপ দিত। এর মধ্যে একটি বিষয় ছিল লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও সংক্রান্ত কোভিড ভ্যাকসিন সম্পর্কিত একটি মিম, যেটি মেটা সরাতে অস্বীকার করেছিল। এর ফলস্বরূপ বাইডেন প্রশাসন দাবি করেছিল যে মেটা মানুষকে বিপদে ফেলছে এবং “মানুষ মারছি” বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপরই, সব এজেন্সি তাদের পিছনে লেগে পড়ে।

মেটার নতুন সিদ্ধান্ত

ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়ার সম্পর্কেও জুকারবার্গের মন্তব্য ছিল, “মেটা এবার তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেকিং বন্ধ করবে এবং কমিউনিটি নোট মডেল গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা থ্রেডে যদি কোনো পোস্ট বিভ্রান্তিকর মনে হয়, তবে সেগুলোর সঙ্গে কমিউনিটি নোট যুক্ত করা হবে।”

প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ

এছাড়াও, মেটা দাবি করেছে যে, তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়া পার্টিসিপ্যান্টদের পক্ষপাতিত্বের কারণে বন্ধ করা হচ্ছে। মেটার চিফ গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার, জোয়েল কাপলান জানিয়েছেন, নতুন মডেলে “কমিউনিটি নোট” এর মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট চিহ্নিত করা হবে।

পদক্ষেপের পেছনে রাজনৈতিক চাপ

জুকারবার্গের মন্তব্য অনুযায়ী, একসময় ফ্যাক্ট চেকিং শুধুমাত্র ভুয়ো কনটেন্টের বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক কনটেন্ট নিয়ে চাপ সৃষ্টি হলে তা একটি নতুন সংকট তৈরি করেছিল। মেটা এবার চায় যে, তাদের প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট মডারেশন যাতে আরও নিরপেক্ষ এবং স্পষ্ট হয়, আর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন না হয়।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now