Last Updated on February 4, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
ইউটিউবের নতুন আপডেটটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য এক বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা তাদের এবং দর্শকদের মধ্যে আরো নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে সহায়তা করবে। ইউটিউব তার অত্যন্ত প্রতীক্ষিত “কমিউনিটিজ” ফিচারটি আরও ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। এই আপডেটটির মাধ্যমে, ক্রিয়েটররা এখন তাদের চ্যানেলে একটি আলাদা জায়গায়, সাধারণ মন্তব্যের সেকশনের বাইরে, সরাসরি তাদের দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। দর্শকরা এখন এই পোস্টগুলিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে, মন্তব্য করতে এবং ক্রিয়েটরের সঙ্গে সঠিক আলোচনা করতে পারবেন।
এই নতুন ফিচারটি ইউটিউবকে আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে, যাতে ক্রিয়েটর এবং তাদের ফ্যানদের জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করা যায় যেখানে তারা পরবর্তী প্ল্যাটফর্ম যেমন রেডিট বা ডিসকর্ডের উপর নির্ভর না করেও সহজেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। ইউটিউবের এই আপডেটের প্রথম সংস্করণ ২০২৪ সালের ‘মেড বাই ইউটিউব’ ইভেন্টে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং যারা এটি প্রথমে ব্যবহার করেছেন, তারা এই ফিচারটির জন্য বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ক্রিয়েটরদের জন্য এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, কারণ তাদের চ্যানেলে মতামত এবং আলোচনা পরিচালনা করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা মডারেশন টুলসও সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব টুলসের মাধ্যমে তারা অনুচিত কন্টেন্ট ফিল্টার করতে পারবেন, যাতে কমিউনিটি সেফ এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। বর্তমান সময়ে এই ফিচারটি শুধুমাত্র ইউটিউব মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাচ্ছে, এবং এটি একটি ফোরামের মতো কাজ করে, যেখানে ক্রিয়েটররা পোস্ট শেয়ার করতে পারেন এবং দর্শকদের সঙ্গে আরও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।
এই আপডেটটি ইউটিউবের কমিউনিটি ট্যাবের নাম পরিবর্তন করে “পোস্ট” রাখা হয়েছে, তবে এটি তার মূল কার্যাবলী বজায় রেখেছে। এক্ষেত্রে, এই নতুন ফিচারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে না। ক্রিয়েটরদের নিজে থেকেই এটি চালু করতে হবে। একবার এটি সক্রিয় হলে, ক্রিয়েটররা একটি ইমেইল নোটিফিকেশন এবং তাদের চ্যানেল পেজে একটি ব্যানার এলার্ট পাবেন। যদি তারা এই ফিচারটি চালু করার আগে এটি পরীক্ষা করতে চান, তবে তারা তাদের চ্যানেল পেজে গিয়ে “গো টু কমিউনিটি” অপশনটি নির্বাচন করতে পারেন এবং এর সুবিধাগুলো দেখুন।
এই আপডেটটি এখনও সীমিত সংখ্যক ক্রিয়েটরের জন্য উপলব্ধ হলেও, ইউটিউবের আশা যে এটি প্ল্যাটফর্মের প্রতি ব্যবহারকারীদের আরও বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করবে এবং তাদের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক স্থাপন করবে।