Last Updated on January 1, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
বছরের শুরুতেই রোহিত শর্মা ও গৌতম গম্ভীরের ভবিষ্যত নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। বিশেষত অস্ট্রেলিয়ায় চলমান বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি এবং রোহিত শর্মার ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা চলছে। বক্সিং ডে টেস্টের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে এই দুই তারকার ভূমিকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার মার্ক ওয়াহ সম্প্রতি বলেছেন, ‘যদি আমি নির্বাচক হতাম, তাহলে রোহিত শর্মাকে বলতাম, তোমার সেবার জন্য ধন্যবাদ। তুমি অসাধারণ খেলোয়াড়, কিন্তু এবার আমরা জসপ্রীত বুমরাহকে সিডনি টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেব।’
রোহিত শর্মা বর্তমানে লাল বল ক্রিকেটে খুব একটা ভালো ফর্মে নেই। চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির ৫ ইনিংসে তার রান মাত্র ৩১। গত কয়েক সিরিজেও তার ব্যাটে রান নেই। নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে রোহিতের রান যথেষ্ট হতাশাজনক ছিল। সব মিলিয়ে, গত ১৫ ইনিংসে রোহিত শর্মা মাত্র ১৬৪ রান করেছেন এবং তার গড় ১১ এরও নিচে।
যদি এমন পরিস্থিতিতে অন্য কোনো খেলোয়াড় হত, তবে তাকে হয়তো দলের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হতো, যেমন শুভমন গিলের উদাহরণ। শুভমন গিল, যিনি এই সিরিজে খুব ভালো পারফরম্যান্স দিয়েছেন, কিন্তু তবুও তিনি একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না। তবে, রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব নিয়ে যে সিদ্ধান্ত আসছে, তা নিয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রোহিত শর্মা এবং জাতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্য অজিত আগরকরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং তারা সিডনি টেস্টের জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করছেন। তবে, রোহিত নিজে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে সচেতন এবং এটি নিয়ে ভাবছেন। এমসিজি টেস্টে হারের পর তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে, আমি জানি যে আমার পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না, এটা হতাশাজনক।’
এদিকে, গৌতম গম্ভীরের ভূমিকা নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে তিনি যখন কোচ হিসেবে ভারতীয় দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন থেকেই নির্বাচনী সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। এমসিজি টেস্টে শুভমন গিলকে একাদশে না রেখে তিন অলরাউন্ডারকে খেলার সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এছাড়া, অশ্বিনের অবসর নিয়ে গম্ভীরের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে, কিছু সূত্রের দাবি, গম্ভীর এই বিষয়ে নির্বাচকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি।
বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে যে, বোর্ডের মধ্যে কিছু বড় সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে। ২০২৪ সালের শুরুতেই গম্ভীর এবং রোহিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিসিসিআইয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে এবং নতুন সচিবের নির্বাচনের পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।