Last Updated on January 30, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পর ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হয় ১ বছরের জন্য। তবে, রাজ্য সরকার এখন এ সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ বছর করতে চায়। এটি একটি বড় পদক্ষেপ, যা শিক্ষক নিয়োগের স্বচ্ছতা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
কেন ১০ বছর সময়সীমা বাড়ানোর চিন্তা?
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর শিট সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটি মূলত শিক্ষক নিয়োগের বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষাপটে এসেছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগগুলি। ২০১৬ সালে প্রথম ওএমআর শিট পরীক্ষায় ব্যবহার শুরু হওয়ার পর, ওএমআর শিট সংরক্ষণ করার সময়সীমা ছিল এক বছর। কিন্তু, বিভিন্ন মামলার ফলে দেখা গেছে যে, পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থী বাছাই করা অনেক সহজ হতে পারে।
রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নতুন নিয়মটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা থেকে শুরু হতে পারে। যদি এই পরীক্ষার পর সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকে, তবে পরবর্তী সময়ে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং অন্যান্য পরীক্ষাতেও এটি চালু করা হতে পারে।
২০১৬ সালের পরিবর্তন এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি
২০১৬ সালে, পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো ওএমআর শিট ব্যবহৃত হয়। তার আগে পর্যন্ত, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাগুলিতে পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষা দিতেন। সেই সময় পরীক্ষার খাতা সংরক্ষণ করা হতো ৩ বছর। কিন্তু, ওএমআর শিট ব্যবহারের পর, এসএসসি-র নিয়ম অনুযায়ী শিট সংরক্ষণের সময়সীমা এক বছর করা হয়।
বর্তমানে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অতীতের ত্রুটিগুলি খতিয়ে দেখে, ওএমআর শিট সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানো দরকার। এর ফলে, ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সময়সীমা বাড়ানোর প্রভাব কী হবে?
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর পাশাপাশি, প্রার্থীদের দাবি এবং বিভিন্ন আইনগত সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে। নতুন নিয়ম অনুসারে, ওএমআর শিট ১০ বছর সংরক্ষণ করলে, কোনো বিতর্ক বা প্রশ্নের অবকাশ থাকবে না এবং প্রার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কিত তথ্য সহজে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
এই পদক্ষেপটি রাজ্য সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে।