Last Updated on January 1, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
২০২৪ সালে শাহরুখ খানের কোনও ছবি মুক্তি না পাওয়ার কারণে কি বলিউডের বক্স-অফিসে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে? এই প্রশ্নটি পুরো বছর ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে উত্থিত ছিল। একাধিক ব্লকবাস্টারের পর, ২০২৩ সালে শাহরুখ খান আবার রাজা মতো কামব্যাক করেছিলেন। তাঁর ছবিগুলির সাফল্যে যেমন একের পর এক রেকর্ড গড়া হয়েছিল, তেমনি দর্শকদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে বাদশার কোনও ছবি মুক্তি পায়নি। ফলে এই বছর বলিউডের বক্স-অফিসে কী প্রভাব পড়ল, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
২০২৩-এ শাহরুখের ব্লকবাস্টার কামব্যাক
২০২৩ সালে, শাহরুখ খান ‘পাঠান’ দিয়ে কামব্যাক করেছিলেন। এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১,০০০ কোটি টাকার বেশি আয় করে ছিল, যা ছিল এক নতুন রেকর্ড। ছবিটি মুক্তির আগে থেকেই প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল। ‘পাঠান’-এর প্রচারে পানীয়ের ব্র্যান্ড থাম্বস আপের বিজ্ঞাপনেও শাহরুখ ছিলেন, যা ছবির প্রচারকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ‘পাঠান’-এর গানগুলোও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল, এবং ছবির প্রচারে এই গানগুলোর ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।
শাহরুখের পরবর্তী ছবি ‘জওয়ান’-এরও প্রচার ছিল কিছুটা আলাদা। তার সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় পরিচালক অ্যাটলি এবং অভিনেত্রী নয়নতারা যুক্ত ছিলেন, যা ছবির সাফল্যকে আরও বৃদ্ধি করেছিল। ‘জওয়ান’-এর প্রোমোশনের জন্য ব্র্যান্ড কোলাবরেশনও ছিল উল্লেখযোগ্য, যার ফলে ছবিটি বক্স-অফিসে ১,১৪৮.৩২ কোটি টাকা আয় করে। এই ছবি ছিল ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবি।
২০২৪-এ শাহরুখের ছবি না মুক্তি পাওয়ার প্রভাব
কিন্তু ২০২৪ সালে শাহরুখ খানের কোনও ছবি মুক্তি পায়নি, যা অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে এতে বলিউডের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে বাস্তবে তা দেখা যায়নি। ২০২৪ সালে বক্স-অফিসে পাঁচটি ছবির আয় ছিল উল্লেখযোগ্য, যেগুলি শাহরুখের ছবির আয়কে টক্কর দিয়েছে। এই তালিকায় বেশিরভাগ ছবিই দক্ষিণ ভারতের, যেমন ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’, ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’, ‘দেবরা: পার্ট ১’, এবং ‘স্ত্রী ২’।
এটি স্পষ্ট যে, শাহরুখ খানের ছবির অভাবকে দক্ষিণ ভারতীয় ছবিগুলি পূর্ণ করে দিয়েছে এবং বক্স-অফিসের আয়ে কোন বড় ধাক্কা খেতে হয়নি। শাহরুখের অবর্তমানে দক্ষিণ ভারতীয় ছবির জনপ্রিয়তা এবং নতুন দর্শকদের আগমন বলিউডের বক্স-অফিসে ভারসাম্য বজায় রেখেছে।
২০২৫ সালে কী হতে পারে?
২০২৪ সালে শাহরুখ খানের কোনো ছবি না মুক্তি পাওয়ার পরেও, বলিউডের বাজারে তার প্রভাব কমেনি। ২০২৫ সালে আবার তাঁর ছবি মুক্তি পেলে, বলিউডের বক্স-অফিসে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, দক্ষিণ ভারতীয় ছবিরও উন্নতি অব্যাহত রয়েছে, যা বলিউডের সঙ্গে নতুন ধরনের প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করছে।