Last Updated on January 29, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি। জীবনবিজ্ঞানের পরীক্ষা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। জীবনবিজ্ঞানে বিশেষভাবে যে বিষয়গুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলিতে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে কোন কৌশল গ্রহণ করা উচিত, এবং ছবি আঁকার সময়ে কী নিয়ম মেনে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে, সেই সম্পর্কে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছে অজন্তা চৌধুরী, একজন অভিজ্ঞ শিক্ষিকা।
প্রশ্নপত্রের ধরন এবং সময়ের ভাগাভাগি:
মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান প্রশ্নপত্র মোট চারটি বিভাগে বিভক্ত। প্রথমে আসা ‘ক’ বিভাগে থাকবে ১৫টি এমসিকিউ প্রশ্ন, যার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই প্রশ্নগুলির মধ্যে সঠিক উত্তর দ্রুত নির্ধারণের জন্য ১৫ মিনিটের মধ্যে উত্তর শেষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিভাগ ‘খ’-এ থাকবে ২৬টি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। এখানে শূন্যস্থান পূরণ, সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ, স্তম্ভ মেলানো, এবং একটি শব্দ/বাক্যে উত্তর দিতে হবে। এই অংশে ৩৬ নম্বর বরাদ্দ থাকে। ‘গ’ বিভাগে ১৭টি প্রশ্ন থাকবে, যেখান থেকে ১২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ২ নম্বর থাকে। শেষের ‘ঘ’ বিভাগে ৬টি প্রশ্ন থাকবে, এবং প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যার মধ্যে একটি প্রশ্ন অঙ্কনধর্মী হবে।
সময় ভাগাভাগি:
প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরে প্রথম ১৫ মিনিট খুব মন দিয়ে পুরো প্রশ্নপত্রটি পড়তে হবে। এই সময়ের মধ্যে কোন প্রশ্নগুলি আপনি সঠিকভাবে জানেন এবং উত্তর দিতে পারবেন, তা চিহ্নিত করে ফেলুন। ‘ক’ বিভাগের ১৫টি এমসিকিউ ১৫ মিনিটে শেষ করা উচিত। এরপর ‘খ’ বিভাগের জন্য ২৫ মিনিট এবং ‘গ’ বিভাগের জন্য ৩৫ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। ‘ঘ’ বিভাগের অঙ্কনধর্মী প্রশ্নটি সময় নেবে, তাই তার জন্য ৯০ মিনিট রাখুন। পরবর্তী ১৫ মিনিটের মধ্যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে রিভিউ করতে হবে। এই সময় মাথা ঠান্ডা রেখে উত্তরগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করা দরকার।
পড়ার কৌশল:
প্রস্তুতির জন্য কিছু কৌশল গ্রহণ করা উচিত। প্রথমত, পাঠ্যবইটি ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়ুন। পাশাপাশি, বিগত বছরের মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র ও বিভিন্ন টেস্ট পেপার সমাধান করুন। এতে পরীক্ষার ধরণ এবং প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। প্রতিদিন অন্তত এক থেকে দু’ঘণ্টা জীবনবিজ্ঞান পড়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া, শিক্ষকরা যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়িয়েছেন এবং যে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, সেই বিষয়গুলোতেই বেশি মনোযোগ দিন।
জীবনবিজ্ঞানের ছবি আঁকার নিয়ম:
জীবনবিজ্ঞানে অঙ্কন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছবির আঁকার সময় বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে তা বাজিমাত করতে পারে। প্রথমত, ছবি আঁকার সময় অবশ্যই পরিষ্কার ও পরিপাটি থাকতে হবে। অযথা কাটাকুটি বা ভুল আঁকার চেষ্টা করবেন না। ছবির প্রতি যত্নশীলতা দেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন তা জীববিজ্ঞানের বিষয় যেমন শারীরবৃত্তীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি হয়। সঠিক অনুপাত এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সংযুক্ত করাও অপরিহার্য।
পরামর্শ:
১. শিক্ষকদের নির্দেশিকা অনুসরণ করুন। ২. ছবির ক্ষেত্রে সঠিক অনুপাত এবং সঠিক অংশের নাম উল্লেখ করুন। ৩. সাফসুতরো ও পরিষ্কার অঙ্কন করুন। ৪. অযথা কাটাকুটি বা ভুল আঁকা থেকে বিরত থাকুন। ৫. অঙ্কনের প্রত্যেকটি অংশ ব্যাখ্যা করে সংক্ষেপে লিখুন।