Last Updated on December 30, 2024 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
২০২৪ সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন অর্জন করল। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি-সি৬০-এর মাধ্যমে স্প্যাডেক্স মিশনের সফল উৎক্ষেপণ হয়। এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। স্প্যাডেক্স মিশনটি মহাকাশে স্পেস ডকিং প্রযুক্তি পরীক্ষার দিকে এগিয়ে গেছে, যা ভবিষ্যতে চন্দ্রাভিযান ও মহাকাশ স্টেশন গঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্প্যাডেক্স মিশনে দুটি স্পেসক্রাফ্ট রয়েছে—চেজার (SDX01) এবং টার্গেট (SDX02)। এই দুটি স্পেসক্রাফ্ট মহাকাশে একত্রিত হবে এবং এর মাধ্যমে স্পেস ডকিং প্রযুক্তির পরীক্ষা করা হবে। স্পেস ডকিং হল দুটি মহাকাশযানের একত্রিত হওয়ার প্রক্রিয়া, যা আগামীতে মহাকাশে মানব অভিযানে ব্যবহৃত হতে পারে। এর আগে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল হয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন, এবং এখন ভারতও এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
পিএসএলভি-সি৬০ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এই মিশনটি শুরু হওয়ার পর পুরো দেশের নজর ছিল ইসরোর দিকে। ২৫ ঘণ্টার কাউন্টডাউন শেষে এই উৎক্ষেপণটি সফলভাবে হয় এবং মহাশূন্যে পাড়ি দেয়। এই উৎক্ষেপণে দুটি স্পেসক্রাফ্ট ছিল, যার প্রতিটির ওজন ছিল ২২০ কেজি। এটি ইসরোর পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যল (PSLV) থেকে উৎক্ষেপিত হয়, যা মহাকাশে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
স্প্যাডেক্স মিশনের সফল উৎক্ষেপণ শুধু ইসরোই নয়, সমগ্র ভারতের জন্য এক গর্বের বিষয়। এই মিশনের সাফল্য ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। মহাকাশে মানব অভিযানের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম, এবং ভবিষ্যতে চন্দ্রাভিযান এবং আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন গঠনের ক্ষেত্রে স্পেস ডকিং প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্প্যাডেক্স মিশনের সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইসরো একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যেখানে ভারত মহাকাশ গবেষণার বিশ্বমঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করবে। এই মিশনটি ভারতের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য এক মাইলস্টোন হিসেবে চিহ্নিত হবে, যা দেশের মহাকাশ গবেষণার উন্নতির দিকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।
এটি ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মঞ্চে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। ইসরোর এই সফল উৎক্ষেপণ বিশ্বব্যাপী মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের প্রভাবকে আরও দৃঢ় করবে, যা ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।