প্রাথমিক শিক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতির সূচনা: নতুন সিলেবাস ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা : জেনে নিন বিস্তারিত

প্রাথমিক শিক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতির সূচনা

Last Updated on December 28, 2024 by কর্মসংস্থান ব্যুরো

২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় চালু হচ্ছে ‘ক্রেডিট বেসড সেমিস্টার সিস্টেম’। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন করা হবে। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই নতুন পদ্ধতির ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।

সেমিস্টার পদ্ধতির কাঠামো

নতুন সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাবর্ষকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে— জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর।

প্রথম সেমিস্টার (৪০ নম্বর):

এই সেমিস্টারের মূল্যায়ন পুরোপুরি লিখিত নয়।২০ নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, ক্লাসে আচরণ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের উপর।বাকি ২০ নম্বর প্রজেক্ট বা ব্যবহারিক কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।

দ্বিতীয় সেমিস্টার (৬০ নম্বর):

এই সেমিস্টার পুরোপুরি লিখিত পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে হবে।

প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষা পরিচালনার পরিবর্তন

আগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করত সংশ্লিষ্ট স্কুল। তবে এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদই প্রশ্নপত্র তৈরি করবে এবং গোটা রাজ্যের সব স্কুলে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব থাকবে স্কুলের শিক্ষকদের হাতে।

ক্রেডিট স্কোর সিস্টেম

নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ক্রেডিট স্কোর’ যুক্ত করা হয়েছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য প্রতি বছরে ৩৭৬ ঘণ্টা ক্লাসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ক্রেডিট স্কোর ধরা হয়েছে ১৩.৫।

তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য প্রতি বছরে ৪৬০ ঘণ্টা ক্লাসের সময় বরাদ্দ। এই স্তরের সর্বোচ্চ ক্রেডিট স্কোর হবে ১৬.৫।

২০২৬ থেকে সিলেবাসে পরিবর্তন

পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষা নেওয়া হবে পুরনো সিলেবাস অনুযায়ী। তবে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঠ্যক্রমেও বড় পরিবর্তন আসবে।

নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য

নতুন এই সেমিস্টার পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের উপর পরীক্ষার চাপ কমানো, ধারাবাহিকভাবে তাদের শেখার অগ্রগতি মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now