এভারেস্টের থেকেও ১০০ গুণ উঁচু! পৃথিবীর গভীরে আরও দুটি রহস্যময় পর্বতের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও ১০০ গুণ উঁচু দুটি রহস্যময় পর্বতের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই পর্বতগুলি পৃথিবীর ভূগর্ভে লুকিয়ে রয়েছে এবং এদের উচ্চতা প্রায় ১০০০ কিলোমিটার, যা এতদিন জানানো মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও অনেক বেশি।

A mysterious mountain deep under Earth's surface, possibly 100 times taller than Mount Everest.

Last Updated on February 1, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো

এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) কথা আমরা জানি, যার উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (৮.৮ কিমি)। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন দুটি পর্বতের সন্ধান পেয়েছেন, যেগুলোর উচ্চতা মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও প্রায় ১০০ গুণ বেশি! এই পর্বতগুলি আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের সীমানার মাঝে পৃথিবীর ভেতরে, ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে লুকিয়ে আছে। এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে “নেচার” পত্রিকায়, যা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এখন প্রশ্ন ওঠে, এই পর্বতগুলি কেমন দেখতে? মাউন্ট এভারেস্টের মতো সেগুলোর শৃঙ্গ দেখা যাবে না, কারণ এগুলি সম্পূর্ণভাবে ভূপৃষ্ঠের নিচে, ভূ-অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে এই পর্বতগুলির উচ্চতা প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার, যা এভারেস্টের ১০০ গুণ উঁচু। যদিও এই পর্বতগুলিকে আমরা সরাসরি দেখতে বা চড়তে পারব না, তবুও বিজ্ঞানীরা এগুলির সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।

See also  Realme P3 Pro To Launch On February 18: GT Boost গেমিং প্রযুক্তি সহ নতুন ধামাকা

ভূগর্ভে লুকিয়ে থাকা মহাকল্পনা পর্বত

এই রহস্যময় পর্বতগুলির সন্ধান পাওয়া গেছে পৃথিবীর ভূ-অভ্যন্তরের ম্যান্টল সেকশনের মধ্যে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই পর্বতগুলি প্রায় ৫০ কোটি বছরের পুরনো হতে পারে, আবার সেগুলি পৃথিবী সৃষ্টির সময়কালের ৪০০ কোটি বছরেরও পুরনো হতে পারে। পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা এই পাহাড়গুলির অস্তিত্বের কথা এতদিন কেউ জানত না। এমনকি বিজ্ঞানী ড. আরউইন ডিউস, যিনি এক্সপ্লোরেশন এবং সিসমোলজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, তিনি বলেছেন, ‘‘এই পর্বতগুলির প্রকৃতি এখনও পরিষ্কার নয়, এবং কে জানে, এগুলি কতদিন ধরে পৃথিবীর গহ্বরে অবস্থান করছে!’’

প্রাকৃতিক টেকটনিক প্রক্রিয়ার প্রভাবে তৈরি পর্বত

বিজ্ঞানীদের মতে, এই পর্বত দুটি আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থান করছে। এই পর্বতগুলির সৃষ্টি হয়েছে টেকটনিক প্লেটের সাবডাকশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সাবডাকশন এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি টেকটনিক প্লেট অন্য একটি টেকটনিক প্লেটের নিচে চলে যায়, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার গভীরে গিয়ে অবস্থান করে।

See also  Yamaha RD 350 launch: নতুন যুগের "জায়ান্ট কিলার" ফিরছে দুর্ধর্ষ ইঞ্জিন আর চমকপ্রদ ডিজাইনের সাথে

এছাড়াও, গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে এই পর্বতগুলির আশপাশের টেকটনিক প্লেটের তুলনায় এই নতুন স্থাপত্যটির তাপমাত্রা অনেক বেশি। সিসমিক তরঙ্গের মাধ্যমে গবেষকরা এটি নিশ্চিত করেছেন যে এই পর্বতগুলির দানাগুলি আশেপাশের অন্যান্য স্তরের তুলনায় অনেক বড় আকারে রয়েছে।

গবেষণার গুরুত্ব এবং ভবিষ্যতের গবেষণা

এই গবেষণা পৃথিবীর ভূ-অভ্যন্তর এবং টেকটনিক প্লেটের ধারণা সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভূ-অভ্যন্তরের এই নতুন সন্ধান বিজ্ঞানীদের জন্য এক বিশাল সাফল্য। যদিও এই পর্বতগুলির বর্তমান অবস্থা বা গঠন সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি, তবুও এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের পৃথিবী এবং তার গঠন সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত হিসেবে মাউন্ট এভারেস্টের অবস্থান এতদিন ধরে অটুট ছিল। তবে, এই নতুন গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে পৃথিবী অনেক বেশি রহস্যময় এবং আমাদের জানার আরও অনেক কিছু বাকি রয়েছে।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now