Last Updated on January 28, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল ছুটি ২০২৫ নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক আগ্রহী। কারণ, এই মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী দিন রয়েছে, যা স্কুলের ছুটির দিনে পরিণত হয়। ফেব্রুয়ারির ছুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে বসন্ত পঞ্চমী, শিবাজী জয়ন্তী, গুরু রবিশ্বর দাসের জন্মদিন, এবং মহাশিবরাত্রি। চলুন, এই দিনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
১. ২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) – বসন্ত পঞ্চমী
বসন্ত পঞ্চমী হল বসন্ত ঋতুর আগমন এবং গুরু সারস্বতী পূজা উদযাপন করার দিন। এই দিনে বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা গুরু সারস্বতীকে পূজা করে, যিনি জ্ঞান এবং শিক্ষার দেবী হিসেবে পূজিত হন। এটি শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি বিশেষ দিন, এবং অনেক স্কুলে এদিন ছুটি থাকে। পাশাপাশি, বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়।
২. ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) – শিবাজী জয়ন্তী
শিবাজী জয়ন্তী মূলত মহারাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যেখানে চহত্রপতি শিবাজী মহারাজের জন্মদিন পালন করা হয়। শিবাজী মহারাজ ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এই দিনটি মূলত মহারাষ্ট্রে উদযাপিত হলেও অন্য কিছু রাজ্যেও এটি পালিত হয়। বহু স্কুলে শিবাজী জয়ন্তী উপলক্ষে ছুটি থাকে, যাতে শিক্ষার্থীরা এই ঐতিহাসিক দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে।
৩. ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) – গুরু রবিশ্বর দাসের জন্মদিন
গুরু রবিশ্বর দাস ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি ও সমাজ সংস্কারক। তার গানের মাধ্যমে তিনি সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশকে আলোর পথ দেখান। পঞ্জাব ও উত্তর ভারতের কিছু রাজ্যে গুরু রবিশ্বর দাসের জন্মদিন বিশেষভাবে পালিত হয়। এই দিনটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয় এবং অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য ছুটি থাকে। এটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।
৪. ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) – মহাশিবরাত্রি
মহাশিবরাত্রি হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা শিবের পূজা ও তপস্যার রাত হিসেবে পরিচিত। এই দিনে ভক্তরা উপবাস রেখে রাতভর শিবের বন্দনা করেন। এটি শিবভক্তদের জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র দিন, এবং অনেক স্কুলে এদিনও ছুটি থাকে। এটি একটি ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলে একে গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
রাজ্যভিত্তিক ছুটির পার্থক্য
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ফেব্রুয়ারি মাসের স্কুল ছুটি রাজ্যভিত্তিক পার্থক্য থাকতে পারে। যেমন, মহাশিবরাত্রি সারা দেশজুড়ে পালন করা হলেও, শিবাজী জয়ন্তী মূলত মহারাষ্ট্রের উৎসব। তেমনি, গুরু রবিশ্বর দাসের জন্মদিন পঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের কিছু অঞ্চলে বেশি পালিত হয়। তাই, প্রতিটি রাজ্যের শিক্ষাবোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ছুটির দিনগুলি ভিন্ন হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা তাদের স্কুলের ছুটির সময়সূচী সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
ছুটি পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি
এই ছুটিগুলো শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্য নয়, বরং শিক্ষার্থীরা সেগুলোকে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য শেখার সুযোগ হিসেবে নিতে পারে। তারা এই দিনগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারে, এবং পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারে। তবে, ছুটির সময়ে পড়াশোনাও অবহেলা করা উচিত নয়। ছোট ছোট বিরতি নিয়ে, লেখাপড়ায় মনোযোগী থাকতে হবে, যাতে একাডেমিক লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।