Last Updated on January 30, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
সিবিএসইর পরীক্ষায় পাস করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূর্ণ করতে হয়। CBSE 10th Passing Marks এবং CBSE 12th Passing Marks নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ৩৩% নম্বর অর্জনের মাধ্যমে। তবে, এই ৩৩% থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োজন। অর্থাৎ, যদি কোনো ছাত্র বা ছাত্রী থিওরিতে ৩৩% পায় কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ৩৩% নম্বর পায় না, তবে সে পাস করবে না। সুতরাং, CBSE 10th এবং CBSE 12th এর পরীক্ষায় পাস হওয়ার জন্য থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল, এবং মোট নম্বর মিলিয়ে অন্তত ৩৩% নম্বর পেতে হবে।
CBSE পাসিং মার্কস: গ্রেডিং সিস্টেম
CBSE Grading System সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি। সিবিএসইতে ছাত্রদের গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ করা হয়, যেখানে A1 থেকে E পর্যন্ত গ্রেড দেওয়া হয়। সাধারণত, A1 গ্রেড সবচেয়ে ভালো এবং এটি সেরা ১/৮ জন শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে, E গ্রেড পাওয়ার মানে হলো ফেইল। তবে, CBSE 10th Grading System এবং CBSE 12th Grading System মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। গ্রেডিং সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের একাধিক স্তরে ভাগ করা হয়, যার মধ্যে A1 থেকে D2 পর্যন্ত গ্রেড দেওয়া হয়, এবং E গ্রেড দেওয়া হয় ফেল করা শিক্ষার্থীদের।
গ্রেড | অর্থ |
---|---|
A1 | শীর্ষ ১/৮ অংশের মধ্যে |
A2 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
B1 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
B2 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
C1 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
C2 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
D1 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
D2 | পরবর্তী ১/৮ অংশ |
E | ফেল করা |
CBSE পাসিং মার্কস: ফেইল হলে কি করবেন? কোম্পার্টমেন্ট পরীক্ষা
যদি কোনো শিক্ষার্থী CBSE 10th অথবা CBSE 12th পরীক্ষায় একটি বা দুটি বিষয় ফেইল করে, তবে তারা কোম্পার্টমেন্ট পরীক্ষা দিতে পারবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অজানা বিষয়গুলো আবার পরীক্ষা করতে পারে এবং পাস করতে পারে। CBSE Compartment Exam সাধারনত তিনটি সুযোগ দিয়ে থাকে:
- প্রথম সুযোগ: জুলাই/আগস্ট।
- দ্বিতীয় সুযোগ: মার্চ/এপ্রিল পরবর্তী বছর।
- তৃতীয় সুযোগ: জুলাই/আগস্ট ওই বছরের মধ্যে।
তবে, যদি শিক্ষার্থী এই তিনটি সুযোগের মধ্যে সফল না হয়, তাহলে তাকে পরবর্তী বছর আবার পুরো পরীক্ষায় বসতে হবে।
CBSE Practical Marks এবং কোম্পার্টমেন্ট
CBSE Practical Marks একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি কোনো ছাত্র বা ছাত্রী থিওরি পরীক্ষায় ফেল করে, কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাস করে, তবে তার প্র্যাকটিক্যাল নম্বর আগের মতো হিসাব করা হবে এবং নতুন করে আবার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে, যদি কেউ প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করে, তাহলে তাকে আবার থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
CBSE Merit Certificates: সেরা ০.১% শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা সম্মাননা
সিবিএসই, প্রতিটি বিষয়ের জন্য Merit Certificates প্রদান করে, যেখানে সেরা ০.১% শিক্ষার্থীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এই Merit Certificates শুধুমাত্র তাদের জন্য হয় যারা সিবিএসইর পাসিং মার্কস অর্জন করেছেন এবং যাদের পরিসংখ্যানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স রয়েছে।
CBSE Exam Scheme: পরীক্ষা পদ্ধতি
CBSE 10th Exam Scheme ও CBSE 12th Exam Scheme এ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। অধিকাংশ বিষয়েই ১০০ নম্বরের থিওরি পরীক্ষা হয় এবং ৩ ঘণ্টার সময় থাকে। তবে, যেসব বিষয়ের সাথে প্র্যাকটিক্যাল যুক্ত রয়েছে, সেগুলোর জন্য আলাদা সময় এবং নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭০ নম্বর থিওরি এবং ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল হিসাব করা হয়। শিক্ষার্থীরা উভয় পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করলে তারা পাস করতে সক্ষম হবে।