Last Updated on February 1, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
নতুন বছরে একটি দুর্দান্ত স্মার্টফোন কিনতে চান, কিন্তু বাজেট ৪০ হাজার টাকার মধ্যে? আপনার জন্য রয়েছে সেরা ৫টি স্মার্টফোনের তালিকা। এই ৫টি ফোন আপনাকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, স্টাইলিশ ডিজাইন এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি দেবে। যদি আপনি গেমিং, ফটোগ্রাফি অথবা সাধারণ ব্যবহারিক প্রয়োজনের জন্য স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাহলে এই ফোনগুলো আপনার জন্য সেরা হতে পারে। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ৫টি ফোনের বিশদ আলোচনা।
১. Vivo T3 Ultra – গেমিং এবং ক্যামেরার জন্য সেরা
যদি আপনার বাজেট ৪০ হাজারের নিচে থাকে এবং আপনি গেমিং পছন্দ করেন, তাহলে Vivo T3 Ultra আপনার জন্য একটি আদর্শ ফোন। এই ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক ডায়মেনসিটি 9200 চিপসেট, যা গেমিংয়ে অত্যন্ত স্মুথ পারফরম্যান্স দেয়। বিশেষ করে, BGMI-তে 60 FPS এবং Call of Duty-তে 120 FPS-এ খেলা সম্ভব, যা গেমারদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা। Vivo T3 Ultra-তে রয়েছে দুর্দান্ত ক্যামেরা সেটআপও, যার মাধ্যমে আপনি ওয়াইড এবং পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি দুটোই নিখুঁতভাবে করতে পারবেন। 5500 mAh ব্যাটারি দিয়ে ফোনটি একটানা ৯ ঘণ্টা ব্যবহার করা সম্ভব। এর বেসিক প্রাইস ৩২ হাজার টাকা, তবে 12GB RAM ভ্যারিয়েন্টের দাম ৩৫,৯৯৯ টাকা। যদি গেমিং, ব্যাটারি এবং ফটোগ্রাফি আপনার জন্য প্রাধান্য পায়, তাহলে এই ফোনটি নিঃসন্দেহে সেরা চয়েস হবে।
২. Realme 13 Pro+ – ফটোগ্রাফি এবং AI ক্যামেরার জন্য সেরা
ফটোগ্রাফির শখ বা পেশায় যুক্ত হলে, Realme 13 Pro+ মডেলটি আপনার জন্য এক সেরা ফোন হতে পারে। এটি ভারতের প্রথম স্মার্টফোন যা ডুয়েল লিটিয়া সেন্সর সহ আসে। এতে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (LYT-701) এবং ৫০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স (LYT-600) রয়েছে, যা দিয়ে আপনি দুর্দান্ত পোট্রেট এবং নাইট ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। 8MP আলট্রা ওয়াইড লেন্সও ফিচারে রয়েছে, যা আপনার ছবি তোলার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে তোলে। ফোনটিতে রয়েছে Snapdragon 7S Gen 2 চিপসেট, যা সাধারণ কাজের জন্য ভালো হলেও হাই-এন্ড গেমিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে, দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য এটি বেশ ভালো পারফর্ম করবে। এর দাম প্রায় ৩০ হাজার টাকা, যা মোবাইল ফটোগ্রাফির জন্য সেরা বাজেট ফোন হিসেবে পরিচিত।
৩. Samsung Galaxy S23FE – স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স
যদি আপনি একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন খুঁজছেন, তবে Samsung Galaxy S23FE হতে পারে আপনার আদর্শ পছন্দ। এটি স্যামসাংয়ের সাশ্রয়ী ফ্ল্যাগশিপ ফোন, যা মাত্র ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এই ফোনটি এক্সিনক্স 2200 প্রসেসর দ্বারা চালিত, যা সাধারণ কাজকর্মের পাশাপাশি গেমিং এবং মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত। Galaxy S23FE-তে রয়েছে 50MP প্রাইমারি ক্যামেরা, 12MP আলট্রা ওয়াইড এবং 8MP টেলিফটো লেন্স, যা নিখুঁত নাইট ফটোগ্রাফি এবং 4K ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট করে। এই ফোনটির সেরা ফিচার হলো তার স্টেবিলাইজার, যা ভিডিও শুটিংয়ের সময় শেকিংয়ের সমস্যা দূর করে। যদি আপনি একটি ভালো ফ্ল্যাগশিপ ফোন কম দামে খুঁজছেন, তাহলে Galaxy S23FE আপনার জন্য সেরা অপশন।
৪. OnePlus 12R – পারফরম্যান্স এবং ডিসপ্লে এক্সপেরিয়েন্সের জন্য সেরা
OnePlus 12R Gen Z-এর জন্য একটি পারফেক্ট স্মার্টফোন। এটি 6.78″ AMOLED ডিসপ্লে এবং 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ আসে, যা OTT প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট দেখতে গেলে আপনাকে স্মুথ স্ট্রিমিং এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করবে। 4500 নিটস পিক ব্রাইটনেসের কারণে দিনের আলোতেও স্ক্রিন পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে। Snapdragon 8 Gen 2 চিপসেট থাকার ফলে গেমিং এবং হাই পারফরম্যান্স টাস্ক নির্বিঘ্নে চালানো যাবে। OnePlus 12R-এ 50MP ক্যামেরা, 5500mAh ব্যাটারি এবং 100W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে, যা মাত্র ২৬ মিনিটে ১% থেকে ১০০% চার্জ করতে সক্ষম। ফোনটি কিনতে পারবেন প্রায় ৩৯,৯৯৯ টাকায়, তবে ইকমার্স ওয়েবসাইটে ডিসকাউন্টের মাধ্যমে এটি আরও সস্তায় পাওয়া যেতে পারে।
৫. Moto Edge 50 Pro – গেমিং এবং মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্য সেরা
যদি আপনি বাজেটের মধ্যে একটি গেমিং এবং মাল্টি-টাস্কিং ফোন খুঁজছেন, তাহলে Moto Edge 50 Pro আপনার জন্য সেরা অপশন হতে পারে। এটি স্ন্যাপড্রাগন Gen 3 প্রসেসর এবং 144Hz ডিসপ্লে সহ আসে, যা গেমিং এবং মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্য উপযুক্ত। ফাস্ট চার্জিংয়ের জন্য রয়েছে 100W সাপোর্ট, যা ২০ মিনিটে ফোনটিকে পুরোপুরি চার্জ করে ফেলবে। এই ফোনটির দাম ৩২ হাজার টাকা, যা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক দামে গেমিং পারফরম্যান্স এবং আধুনিক ফিচার প্রদান করে।