Last Updated on January 2, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তায়। সবুজ সাথীর সাইকেল বিতরণ, বিনামূল্যে বই, স্কুল পোশাক, ট্যাব বিতরণ এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো সুবিধা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন পড়ুয়ারা। এবার আরও এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার—এটি হল শিক্ষাসাথী প্রকল্প, যার মাধ্যমে পড়ুয়াদের জন্য সস্তায় খাতা পাওয়ার সুযোগ মিলবে।
শিক্ষাসাথী প্রকল্প ২০২৫
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের জন্য কম খরচে খাতা বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তর থেকে আপাতত তিন ধরনের খাতা বাজারে আনা হচ্ছে। এই খাতাগুলি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ শিল্পবার্তা প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেড দ্বারা তৈরি হবে। ফলে, শিক্ষার্থীদের জন্য খাতা এখন সস্তায় পাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান বাজারে খাতার দাম বেশ চড়া, কিন্তু এই উদ্যোগের মাধ্যমে পড়ুয়াদের খাতা ক্রয়ে খরচ কমানো সম্ভব হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
শিক্ষাসাথী প্রকল্পের লক্ষ্য হল, খাতার উৎপাদন এবং বিক্রির মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী করা। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের যাতে খুব বেশি দাম দিয়ে খাতা কিনতে না হয়, সেই দিকটি মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, এই খাতার সামনে এবং পিছনে রাজ্য সরকারের অন্যান্য শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলির তথ্য উল্লেখ থাকবে, যাতে পড়ুয়ারা পরবর্তীতে সেই প্রকল্পগুলো থেকে সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
কোথায় পাওয়া যাবে এই খাতা?
শিক্ষাসাথী প্রকল্পের খাতা সরকারি মেলাগুলিতে পাওয়া যাবে। এছাড়া, ভবিষ্যতে রেশন দোকানগুলিতেও এই খাতা পাওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খাতাগুলোর গুণগত মান খুব ভালো থাকবে এবং সেগুলি মঞ্জুশার স্টলগুলিতে পাওয়া যাবে। চন্দ্রনাথ সিংহা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী, একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে এই খাতাগুলি খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে।
খাতার দাম এবং মান
এই প্রকল্পের আওতায় তিন ধরনের খাতা বিক্রি হবে। দুটি খাতা হবে মোট ১৬০ পাতার এবং তাদের দাম থাকবে মাত্র ৭০ টাকা। অন্যদিকে, ১০০ পাতার খাতার দাম থাকবে মাত্র ৩৭ টাকা। বর্তমান বাজারে এই ধরনের খাতাগুলোর দাম অনেক বেশি, তবে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে পড়ুয়াদের খাতা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে।
এটি শুধু খাতার দাম কমানোর মাধ্যমে নয়, বরং সরকারী প্রকল্পগুলো সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতনতা বাড়ানোর একটি শক্তিশালী পদক্ষেপও।